ক্রীড়া প্রতিবেদক
ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরে পিঠে বল লেগে আঘাত পেয়ে সাকিব চট্টগ্রাম টেস্টে বল করতে পারলেন না। এরপরই দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মিডিয়াতে জানিয়ে দিয়েছিলেন মিরপুর টেস্টে পুরো ফিট সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়ে শংকা আছে।
কিন্তু চট্টলা টেষ্ট শেষ হবার পর টানা তিন দিনের বিরতি ছিল। এ বিরতিতেই মুলত সাকিব ফিটনেস ফিরে পেয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত আর সাকিবের ইনজুরির সেই শঙ্কা নেই।
মিরপুর টেষ্ট মাঠে গড়ানোর আগে আজ বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড এ স্বস্তির খবরটি দিলেন মিডিয়াকে। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পুরো ফিট সাকিবকে পাওয়া যাবে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতীয় পেসার উমরান মালিকের বাউন্সারে কাঁধে আঘাত পান সাকিব। কাঁধ ও পাঁজরের চোটে ভুগতে থাকা সাকিব চট্টগ্রাম টেস্টে কেবল ব্যাটার হিসেবেই খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২ ওভার বোলিং করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বলের ধারে-কাছেও যাননি বাঁহাতি এই স্পিনার। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও আঁটোসাঁটো ছিলেন সাকিব। বেশ কিছু সময় বাউন্ডারি লাইনে সাকিবকে ফিল্ডিং করতে দেখা গেছে। দলের ডিআরএসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও তাকে সেভাবে সম্পৃক্ত দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে ‘পুরো’ সাকিবকে পাওয়া যায়নি।
তবে কাল মিরপুরে ‘পুরো’ সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেছেন, ‘সাকিব ভালো আছে। সে বোলিং করবে। এখানে ওয়ানডে চলাকালে তার হালকা চোট ছিল। সেখান থেকে সেরে উঠেছে। সে নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত এবং বোলিংও করতে পারবে। সে খেলার অবস্থায় আছে।’
চট্টগ্রামে তিন স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসারকে নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে কেমন হতে পারে বোলিং আক্রমণ? এমন প্রশ্নে ডোনাল্ড বলেছেন, ‘এখানে কোনও নির্বাচক আছে? (হাসি) আমি সেটা বলতে পারছি না। তবে ধারণা করে বলতে পারি, তিন জন স্পিনার যারা খেলেছিল এবং তাসকিন ফিরে এসেছে, সঙ্গে খালেদ তো আছে। নির্বাচন নিয়ে কাজটা নির্বাচকদের। তবে আমি দেখতে পাচ্ছি এমন কিছুই হতে যাচ্ছে।’
সেই সঙ্গে ডোনাল্ড আবারও নিশ্চিত করেছেন সাকিবের ঢাকা টেস্টে খেলার বিষয়টি, ‘সুখবর হচ্ছে, সাকিব খেলার জন্য পুরোপুরি তৈরি এবং উইকেটে দেখে মনে হচ্ছে সে খেলার জন্য মুখিয়ে আছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে কেবল দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের পারফরম্যান্স পাওয়া গেছে। শেষ দিনে তার টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং কেবল স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। ৮৪ রানের ইনিংসে ছয়টি করে চার-ছক্কা মেরেছেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ১২ ওভার বল করলেও ছিলেন উইকেটশূন্য। ব্যাট করতে নেমে ২৫ বল খেলে করতে পেরেছেন ৩ রান।